পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
নাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
ইসলামের পরিভাষায় নফস একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। এটি মূলত প্রবৃত্তিকে বোঝায়। প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এটি ভালো-মন্দ উভয় কাজের দিকে ধাবিত করে। তাই এর সঠিক পরিচর্যা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একে উন্নত করার বিকল্প নেই।
মাদক কারবারি ও জুয়া মূলত শয়তানি কাজ। দেশীয় ও ইসলামি আইনে এই কাজ অত্যন্ত গর্হিত ও নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর (লটারি) এসব ঘৃণ্য শয়তানি কার্যকলাপ।
জিহ্বা আল্লাহর নিয়ামত। জিহ্বার সঠিক ব্যবহার করে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া মুমিনের দায়িত্ব। দুই পাটি দাঁতের মাঝখানের এই মাংসখণ্ডের ভুল ব্যবহার দুনিয়া-আখিরাতে ধ্বংসের কারণ হতে পারে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তাঁর নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এরশাদ করেন, ‘আমি কি তার জন্য দুটি চোখ বানাইনি, আর একটি জিহ
তুরস্কে অনুষ্ঠিত ৯ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বাদ জোহর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুয়াজের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার তুলে দেন।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিচিত্ররূপে সৃষ্টি করেছেন। গায়ের রঙে যেমন রয়েছে ভিন্নতা, তেমনই মন-মেজাজেও বিচিত্রতা স্পষ্ট।
প্রতিটি জিনিস বানানোর পেছনে একটা উদ্দেশ্য থাকে। যেমন চেয়ার বসার জন্য বানানো হয়। টেবিল কোনো কিছু রাখার জন্য বানানো হয়। প্রশ্ন হলো, মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী? চলুন জেনে নিই মহান আল্লাহর ভাষ্যে, পবিত্র কোরআনের আয়াত থেকে। এরশাদ হয়েছে, ‘কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য আমি
বিপদাপদ মহান আল্লাহর পরীক্ষা। তাই কোনো বিপদে পতিত হলে কিংবা কোনো দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে কোনোভাবেই ভেঙে পড়া যাবে না। আল্লাহর প্রতি অগাধ আস্থা-বিশ্বাস ও পরম ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
পবিত্র কোরআনের পর ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মহানবী (সা.)-এর হাদিস। তাই প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে মহানবীর শাশ্বত বাণীসমূহ পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুসলিম মনীষীরা অসংখ্য হাদিস গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে হিজরি তৃতীয় শতকের প্রথিতযশা হাদিসবিশারদ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল বুখারি (রহ.) রচিত
জীবনের প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিতে আমরা হিমশিম খাই। দোটানা ও সিদ্ধান্তহীনতা আমাদের ভোগায়। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) নামাজের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর তৌফিক কামনা করতে বলেছেন তিনি। এই নামাজকে ইসলামে
নামাজ শ্রেষ্ঠ ইবাদত। নামাজের মাধ্যমেই বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে সুনিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হয়। প্রত্যেক সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের জন্য নামাজ ফরজ। অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের ওপর নামাজ ফরজ নয়। তবু ছোট থেকে তাদের নামাজের প্রতি উৎসাহিত করতে হয়। নামাজের প্রশিক্ষণ দিতে হয়। সুরা-কিরাত শেখাতে হয়।
সুপারিশ হলো অন্যের কোনো উপকার বা ক্ষতি দূর করার জন্য মধ্যস্থতা করা। ভালো কাজে অন্যের জন্য সুপারিশ করা একটি মহৎ কর্ম। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে সুপারিশকারীর জন্য সওয়াব ও প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জীবিকা নির্বাহের অন্যতম বৈধ উপায় হলো ব্যবসা। মানুষের নানাবিধ প্রয়োজন মেটাতে ইসলামে ব্যবসার বৈধতা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম।’
প্রতিটি মুসলিমের জীবনে তাকওয়া এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ। তাকওয়া পরকালীন সাফল্য ও মুক্তির চাবিকাঠি। তাকওয়া হলো মহান আল্লাহর ভয়, ভালোবাসা এবং অতিশয় শ্রদ্ধাসহকারে তাঁর আনুগত্য করা এবং তাঁর অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের অনেক জায়গায় তাকওয়ার গুরুত্ব আলোচিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (
লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার জ্ঞানের বাতিঘর। ইসলামের সোনালি যুগে মুসলমানরা কোরআন-হাদিস, ভাষা ও অন্যান্য জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করেন। এরপর গ্রিক, সংস্কৃত ও ফারসি জ্ঞানভান্ডার আরবিতে রূপান্তর করে বিশ্বজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হন। সুতরাং জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনে স্বাভাবিকভাবেই অসংখ্য সমৃদ
পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা একটি অঞ্চলকে পবিত্র ও বরকতময় আখ্যা দিয়েছেন, যেটিকে আগেকার যুগে শাম বলা হতো। মূলত শাম বলে সেকালে ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান ও আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হতো। এই ভূখণ্ডে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। তাই একে পৃথিবীর সভ্যতার কেন্দ্র বলা যায়। অবশ্য